দর্শনীয় স্থান

গাবরাখালি গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র,হালুয়াঘাট icon
গাবরাখালি গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র,হালুয়াঘাট
📞 01752719670
গাবরাখালি গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র,হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ।
প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অসিম লীলাভুমি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার গাবরাখালী ও গলইভাংগা গ্রাম।এই দুটি গ্রামে রয়েছে ময়মনসিংহের গারো পাহাড় নামে খ্যাত এর একাংশ ।এর অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দয্য মুগ্ধ করে সকল বয়সের মানুষকে। বাহিরের এলাকা থেকেও মানুষ আসে এই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। সমতল ভূমি পরিবেষ্টিত পাহাড়, পাখির কলরব আর সোনালী সূর্যের সূর্ক্ষাস্তক্ষণ দেথতে অনেক সুন্দর । ১২৫ একর এলাকা জুড়ে ছোট-বড় ৬৭টি পাহাড় নিয়ে গাবড়াখালি পাহাড় গঠিত। পাহাড়গুলো ৭০ফুট থেকে ২০০ফুট উচু হবে (এলাকার মানুষের বর্ণনামতে) ।পাহারগুলোর বিভিন্ন নাম আছে। যেমন- চিতাখলা টিলা, যশুর টিলা, মিতালী টিলা, বাতাসী টিলা ইত্যাদি।  পাহাড়ের মাঝখানে নীচু জমি আছে পানিতে ভরে গেলে লেক মনে হবে। নীচু জমিগুলোতে বোরো মৌসুমে ভারত থেকে সরার পানি দিয়ে বোরো ধান আবাদ করা হয়।পাহাড়গুলোতে গজারি গাছ লাগানো হয়েছে।পূর্বে হাজং ও বানাই জনগোষ্ঠির বসবাস এ গাবড়াখালি গ্রামে। এর উত্তরপ্রান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমানা । সন্ধ্যায় ভারতের সীমানার দিকে নীলাভ আলোর বিচ্ছুরন দেখতে খুবই সুন্দর  । যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন (মেকিয়ারকান্দা বাজার থেকে গাবড়াখালি পাহাড় পর্যন্ত ৬কিমি রাস্তা) হলে হয়ত: 'গাবরাখালি" পাহাড় ‍একদিন হয়ে উঠবে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ মটর সাইকেল বা মাইক্রোবাসের মাধ্যমে সেখানে যাওয়া যায়। মাইক্রোবাস, মটর বাইক, অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।হালুয়াঘাট বাজার থেকে মটর সাইকেলে  যেতে সময় লাগবে  ৩৫ থেকে ৫০মিনিট।  
যোগাযোগের জন্য:
ফোন: ০১৭২১৯৭২৭১০
ইমেল: unohaluaghat@mopa.gov.bd
ইউরোপিয়ান পার্ক icon
ইউরোপিয়ান পার্ক
📞 01309-632611
শরিফুল হাসান রানা : ইউরোপিয়ান পার্ক। এটি হালুয়াঘাট উপজেলার ২ নং জুগলী ইউনিয়নের নালিতাবাড়ী রোডে অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক।বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মৌসুমী আক্তার সালমা ও ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ নূর সাগরের নিজস্ব অর্থায়নে এ পার্কটি নির্মাণ করেন। বিগত ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজ আংশিক শেষে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। এছাড়াও তখনকার হালুয়াঘাট,নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন । শুরুতেই মাত্র ছয় একর জমিতে পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে তা ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে। হালুয়াঘাট উপজেলার জন্য অন্যতম একটি বিনোদন পার্ক এবং অবসর যাপনের স্থান হিসেবে ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান পার্ক। হালুয়াঘাটসহ আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ইউরোপিয়ান পার্ক। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকেও লোকজন আসছেন প্রতিনিয়ত। হালুয়াঘাট বাজার শুটকিমহল থেকে মাত্র অটো রিকশা যোগে ২৫ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে আসতে পারবেন এই ইউরোপিয়ান পার্কে। পার্কের প্রবেশ ফ্রি জনপ্রতি 50 টাকা।এই পার্কেই রয়েছে কৃত্রিম লেক। লেকগুলোতে যাওয়ার জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় লোহার ব্রীজ। পানির উপরে ভাসমান লেকগুলোতে প্রবেশ করলেই মিলে অন্যরকম অনুভূতি। এছাড়াও রয়েছে প্যাডেল বোট, রয়েছেই নৌকাদোলা, শিশুদের আলাদা জোন। পার্কের ওপর পাশে তৈরি করা হয়েছে কৃত্তিম পাহাড়। সেখানে উঠলে দেখা যায় দুই পাশের আকর্ষণীয় দৃশ্য। এছাড়াও চারপাশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আকর্ষণীয় লেক। এসব উপভোগ করতে আপনাকে আসতে হবে কণ্ঠশিল্পী সালমার ইউরোপিয়ান পার্কে। তাই চলে আসুন এই ইউরোপিয়ান পার্কে।
তালতলা, ২নং জুগলী হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ।