আলহাজ্ব আলী আজগর
জননেতা আলহাজ্ব আলী আজগর: এক কিংবদন্তির জীবন ও অবদান
জন্ম ও শৈশব
৩১ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এক মহামানব, হালুয়াঘাটের রাজনৈতিক অগ্রদূত, ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী এবং সাধারণ মানুষের প্রিয়মুখ—জননেতা মরহুম আলহাজ্ব আলী আজগর। শৈশব থেকেই তিনি মানবপ্রেম ও সমাজসেবার অঙ্গীকার নিয়ে বড় হয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন এবং হয়ে ওঠেন এক কিংবদন্তি ছাত্রনেতা।
একজন প্রকৃত জননেতার জীবন
আলহাজ্ব আলী আজগর ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। সততা, নেতৃত্বগুণ এবং প্রজ্ঞার কারণে তিনি দ্রুত ছাত্ররাজনীতিতে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে সাথী হওয়াই ছিল তাঁর জীবনের প্রধান ব্রত। দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে একাধিকবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান
তিনি শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, বরং সমাজসংস্কারক ও শিক্ষানুরাগীও ছিলেন। শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি আজও স্মরণীয়। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে হালুয়াঘাট উপজেলায় অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে, যা আজও মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখছে।
ব্যক্তিগত জীবন
সংসার জীবনে তিনি ছিলেন মিসেস বিলকিস আরা আজগরের জীবনসঙ্গী। তাঁদের একমাত্র পুত্র ব্যারিস্টার আ. স. ম. খালিদ ইকবাল এবং একমাত্র কন্যা সাজিয়া সাবনাম ইশিকা। কন্যার জামাতা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য রাজনৈতিক সহকর্মী, ছাত্রভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে তিনি ২ এপ্রিল ২০২১ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান
জননেতা আলী আজগর শুধু রাজনীতি ও সমাজসেবার ক্ষেত্রেই নয়, সাহিত্য-সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ‘কবি প্রাঙ্গণ বাংলাদেশ’-এর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যতম অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রেরণা ছিল অনন্য।
মরহুম আলহাজ্ব আলী আজগর ছিলেন এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব, যিনি রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি আমাদের মাঝে শারীরিকভাবে না থাকলেও তাঁর কর্ম ও আদর্শ যুগের পর যুগ অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
মহান আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন।
কালের চরণ
“কালের স্রোতে কাল চলছে ঢেউ দিয়ে নিজ পায়ে
নানান কথা লেখা তবু ইতিহাসের গায়ে।”
★এই চরণগুলো সময়ের অনন্ত প্রবাহকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সময় চলে যায়, মানুষ বদলায়, সমাজ রূপান্তরিত হয়; কিন্তু যারা মহৎ কর্মে ইতিহাস রচনা করেন, তাদের নাম ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। জননেতা আলহাজ্ব আলী আজগরও তেমনই এক কিংবদন্তি, যাঁর কর্ম, আদর্শ ও মানবিক অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরকাল অমলিন থাকবে।
কৃতজ্ঞতা সহকারে,
জালাল উদ্দীন আহমদ
কবি প্রাঙ্গণ বাংলাদেশ